ফেলানী হত্যার বিচার তামাসার পর  এবার বিএসএফের ক্ষতিপূরণ প্রহসনমন্তব্য প্রতিবেদন: ফেলানী খুনের আসামী বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ রায় দিয়ে বাঙ্গালী জাতির সাথে তামাসাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল ভারত। তারপরই ফেলানি খাতুন খুনের পুনর্বিচারের আশ্বাস দিয়েছিল ভারত। কিন্তু এই বিচারকে নিয়ে শুরু হয়েছে গড়িমসি। কেউই বিচার শুরুর কোন নির্দিষ্ট দিন-তারিখ বলছেন না। গত সাত সেপ্টেম্বর বিএসএফের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, কবে এই বিচার শুরু করা যাবে তা এখনি বলা সম্ভব নয়। এরপর ভারতের অবস্থানের আর কোন পরিবর্তন হয়নি।

ফেলানী হত্যা বিচার নিয়ে এমন তামাশার রেশ কাটতে না কাটতেই ক্ষতিপূরণের নামে নতুন প্রহসনের জন্ম দিল ভারত। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে বাঙ্গালী খুন, নির্যাতন চালিয়েই যাচ্ছে বিএসএফ। এই সমস্যা সমাধানের কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে, দোষী বিএসএফ সদস্যদের শাস্তি না দিয়ে ক্ষতিপূরণ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। দুই বছর আগে রাজশাহীতে বাংলাদেশি নাগরিককে নগ্ন করে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই বাংলাদেশির নাম হাবিবুর রহমান ওরফে হাবু (২২)।

হাবিবুর রহমান, ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর খানপুর বিওপি এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমানার ভেতরে প্রবেশ করলে ১০৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন চরমুর্শি বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে পেটায়। পরের দিন তাঁকে নগ্ন করে হাত-পা বেঁধে আবার নির্মমভাবে পেটান হয় এবং সীমান্তের শূন্য রেখার কাছে ফেলে রাখা হয়। পরবর্তীতে, স্থানীয় জনগণ তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে নগ্ন করে পেটানোর সময় বিএসএফের এক জওয়ান মুঠোফোনে তার নগ্ন অবস্থায় নির্যাতনের ছবি ধারণ করেছিল। ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেলে তা প্রচারিত হলে, বিষয়টি বিজিবির নজরে আসে এবং তারা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।

অতঃপর,বিএসএফ ঘটনার দায় স্বীকার করে দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়।’দ্য হিন্দু পত্রিকায়’তা ওই বছর ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় আদালত বিষয়টি নিজ থেকে বিবেচনায় নিলে জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিল নির্যাতিত হাবিবুর রহমানকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার ভারতীয় মুদ্রা দেওয়ার সুপারিশ করে।

মন্তব্য