আইসিসির নিয়ন্ত্রণ ও ক্রিকেট-বাণিজ্য তিন পরাশক্তির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সমর্থনের কারণে অনেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সমলোচনা করেছে। তবে এই প্রস্তাবে সমর্থনের ফলাফল হাতে-নাতেই পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তাবে সমর্থনের কারণে ভারত প্রথমবারের মত বাংলাদেশকে দেশটিতে পূর্ণাঙ্গ সফরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। আইসিসির এটিপি অনুসারে আগামী ২০১৬ সালে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
হাঁটি হাঁটি পা করে টেস্ট ক্রিকেট অঙ্গনে ১৪টি বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এরইমধ্যে ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ সকল দেশে টেস্ট খেললেও এখনও ভারতের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সফরে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না বিবেচনা করে ভারত বাংলাদেশকে এখনও আতিথিয়তা দেয়নি।
তবে এবার সে আক্ষেপ ঘুচবে বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। আইসিসির পাশ প্রস্তাব ও বাংলাদেশের সমর্থন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।
প্রস্তাবে সমর্থনের ফলাফলস্বরুপ, ভারত ছাড়াও এই সময়ে অস্ট্রেলিয়াতেও পূর্ণাঙ্গ সফরে যাবে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াও এই সময়ে বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ খেলতে আসবে। নাজমুল বলেন, আইসিসির ২০১২-২০২০ সালের এটিপি অনুসারে চলতি বছরের জুনে একদিনের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ আসবে ভারতের ক্রিকেট দল। ২০১৫ সালের জুনে মাসে টেস্ট ও একদিনের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ আসবে ভারত। আর ২০১৬ সালে একইভাবে টেস্ট ও একদিনের সিরিজ খেলতে ভারতে যাবে বাংলাদেশ দল। এমনকি ২০২০ সালেও ভারত বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বলেই জানান নাজমুল ইসলাম পাপন।
আইসিসির বৈঠকে তিন মোড়লের প্রস্তাবে সমর্থনের ফলাফলে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল আর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় পূর্ণাঙ্গ টেস্ট খেলতে যাবে। এছাড়া ২০২১ সালেও বাংলাদেশে খেলতে আসবে অস্ট্রেলিয়া।
আইসিসিতে সমর্থনের কারণে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াতে পূর্ণাঙ্গ সফরের সুযোগ মিললেও এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডে কোন সফরের বিষয়ে নিশ্চয়তা পায়নি বাংলাদেশ। তবে ইংল্যান্ডের সমর্থন ও সহায়তা পাওয়া যাবে বলেই মনে করেন পাপন। আর এই পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামী ৬ বছরে ৫০টির বেশি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নেবে।