বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরঢাকা: জাতি আওয়ামী লীগের চলচাতুরি আর সার্কাস থেকে মুক্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘ভাষা আন্দোলন ও মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভাসানী স্মৃতি সংসদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মন্ত্রীদের পায়ের নিচে মাটি নেই বলে হুঙ্কার ছুড়ে বলছেন, পাঁচবছর ক্ষমতায় থাকবেন। ভোটারবিহীন নির্বাচন দিয়ে পাঁচবছর কেন পাঁচ মাসও থাকতে পারবেন না!

তিনি বলেন, এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা পৃথিবীতে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেছে।

খুব দ্রুত সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ ভালো সার্কাস দেখাতে পারে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ চলচাতুরি করে, গায়ে রঙ মেখে সঙ সেজে সার্কাসে মানুষকে আনন্দ দিতে পারে।

তিনি বলেন, জাতি এ সার্কাস থেকে মুক্তি চায়। জাতি চায়, যা যা করেছেন এখনও সময় আছে জাতির সঙ্গে তামাশা বন্ধ করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

মিছিল-সমাবেশ মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, মিছিল-সমাবেশ জাতির মৌলিক অধিকার। এ মৌলিক অধিকার হরণ করছে সরকার। জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার ফেরত চায়।

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এ জন্য ‘ক্রসফায়ার’ আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘অস্ত্রের মুখে’ ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করছে। ভোটার ছাড়া নির্বাচন করে দাম্ভিকতা করা হচ্ছে। কেউ আবার সোনার মুকুট উপহার নিচ্ছে। কেউবা আবার বলছে নগদ দাও। আজ পর্যন্ত কোনো শাসক বন্দুক, গুলি আর স্বৈরচারী করে টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগও পারবে না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের সত্য সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকার হরণ করেছে। সঠিক সংবাদ প্রকাশে আপনারা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ তাদের ছাড়া কাউকে স্বীকৃতি দেয় না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হলেও তাকে স্বীকৃতি দেয়নি। স্বাধীনতার সময় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীকে স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ, আওয়ামী লীগ নিজেদের ছাড়া কাউকে স্বীকৃতি দিতে জানে না।

মাওলানা ভাসানী সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি এবং বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আজীবন সংগ্রাম করেছেন ভাসানী। তিনি শোষিত মানুষ ও কৃষকের জন্য কথা বলেছেন। ভাসানী ছিলেন বলেই আমরা শোষিত মানুষের কথা বলি।

সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভাসানী স্মৃতি সংসদের সাবেক সভাপতি নূর মো. খান, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফরু, ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ সচিব এস এম আবদুল হালিম প্রমুখ।

মন্তব্য