সবাই বলে নারীর মন বোঝা দায়। কিন্তু পুরুষের মনও কি পুরোপুরি বোঝা সম্ভব? কেউ হয়তো বলবেন ‘হ্যাঁ’, আবার কেউ বলবেন ‘না’! যদি পুরুষের মন সত্যিই নারীরা বুঝতেন তাহলে কি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এত জটিলতা হতো? নারীরা পুরুষের মন ঠিক মত বোঝেন না বলেই সম্পর্কে দেখা দেয় নানান রকম জটিলতা। আসুন জেনে নেয়া যাক পুরুষদের সম্পর্কে ৫টি বিষয় যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্কের জন্য জানা জরুরী।
পুরুষের ইগো থাকে
কম বেশি সব পুরুষেরই ইগো থাকে। আর এই ইগোর কারণে তারা নিজ থেকে আগ বাড়িয়ে ‘সরি’ কিংবা ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলতে চায় না এবং তারা বেশিরভাগ সময়ে নারীর কাছ থেকেই কমনীয়তা আশা করে। আর তাদের এই স্বভাবের জন্য সম্পর্কে নানান রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই পুরুষদের ইগোর বিষয়টি মাথায় রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে গেলে সম্পর্কের জটিলতা কম হয়।
অন্য নারীদের দিকে তাকাবেই
পুরুষরা স্বভাবতই নারীদের দিকে তাকায়। পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী গেলে পছন্দের পুরুষটি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালে অভিমানে গাল ফুলিয়ে ফেলার দরকার নেই। কারণ তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে কিংবা অসৎ উদ্দেশ্যে এই কাজটি করে না। অনেকটা সহজাত অভ্যাস বশতই করে ফেলে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে হাসি-ঠাট্টা করে উড়িয়ে দিন। তাহলে দুজনের সম্পর্কটা ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
পুরুষ অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না
অধিকাংশ নারীই আশা করে তাদের পুরুষ সঙ্গীটি তাদের মত করেই অনুভূতি প্রকাশ করবে। কিন্তু এই আশা করাটা ভুল। কারণ পুরুষরা স্বভাবতই চাপা স্বভাবের হয় এবং অনুভূতি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কাঁচা হয়। তাই এটা নিয়ে রাগারাগি না করাই সম্পর্কের জন্য ভালো।
তাঁরা খরচ যোগাতে ভালোবাসে
পুরুষরা অধিকাংশ সময়েই নারীদের পেছনে খরচ করতে ভালোবাসে। কোথাও খেতে গেলে কোনো নারী খাওয়ার বিল দিলে তারা বেশ অস্বস্তিবোধ করে। আর তাই পকেটে টাকা না থাকলে তারা সহজে খেতে কিংবা ঘুরতে যেতে চায় না। পছন্দের মানুষটি আপনাকে বেড়াতে নিয়ে না গেলে তাই মন খারাপ করবেন না। জানবেন যে তার পকেটে টাকা নেই।
তাঁরা স্বাধীনতা চায়
পুরুষরা স্বাধীনতা চায়। জোর করে তাদেরকে ঘরে বসিয়ে রাখতে চাইলে, বন্ধুদের সাথে মিশতে না দিলে কিংবা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দিলে তাড়া মনঃক্ষুণ্ণ হয় এবং সম্পর্কের অবনতি হয়। এমনকি সম্পর্কের ভাঙনও এসব ক্ষেত্রে খুবই স্বাভাবিক।