১৯৮৭ সাল- আমেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির নির্বাহী ম্যারি অ্যান লিপার কোপেনহেগেনে যখন ফ্লাই করে যান, তখনো তার কোন ধারনাই ছিলোনা, সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্বের বিস্ময়কর এক নব আবিষ্কার। লিপার যখন ল্যাস হ্যাসেলের ফার্ম হাউসে ঢুকলেন, তখন এই ড্যানিশ ডক্টর এবং ইনভেন্টর হ্যাসেল তার সামনে এক বাক্স পেটরা খুলে ধরলেন, যা দেখে লিপারের চোখ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলো। লিপার নিজেই বলছেন, পৃথিবীর প্রথম নারীদের জন্য তাদের প্র্যেগনেন্সির আর নানান কঠিন রোগের বিশেষ করে এইচআইভি`র মতো মারাত্মক প্রাণনাশি জীবাণুর আক্রমণ থেকে সুরক্ষা ও প্রতিরোধের মোক্ষম অস্ত্র আবিষ্কৃত হতে দেখে তার চোখ কপালে উঠে যায়। লিপার বলেন আমি এবং আমার উইকনসিন ফার্মাকলের কলিগ তখন আশান্বিত হয়ে পড়ি শেষ পর্যন্ত মার্কিন নারীদের এবং আফ্রিকাসহ সাহারা অঞ্চলের ও অনুন্নত বিশ্বের মহিলাদের এইচআইভি` র সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারবো।
তবে এর শুরুতে বা এই নতুন প্রোডাক্টের পরিচয় মহিলাদের কাছে জনপ্রিয় বা সাধারণ পরিচিত করে তুলতে তাদেরকে খুব বেগ পেতে হয়েছিলো। কেননা মহিলাদের এই কনডম যা এফ-ওয়ান নামে পরিচিত ও বাজারজাত হয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সে সম্পর্কে নারীদের সামান্যই ধারনা ছিলো, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন তখনো লিপার ও হ্যাসেলের এই প্রোজেক্টে এগিয়ে আসেনি। তাছাড়া হ্যাসেলের ঐ কনডম ছিলো দেখতে বেশ উদ্ভট ধরনের এমনকি মার্কেটিং এ প্যাকেটে ছিলো খোলামেলা, যা বাজারজাত ও জনপ্রিয় হতে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো। এমনকি ঐ সময়ে মহিলাদের কনডম ইন্টার কোর্সের সময় নারীদের ভ্যাজিনাতে কি করে প্রতিস্থাপিত বা লিপারের ভাষায় কেমন করে ভ্যাজিনাতে ঢুকাতে হবে বা রাখতে হবে, এর হার্ড অংশের প্রতিক্রিয়া কেমন- এ সম্পর্কে হ্যাসেল কিংবা লিপার বা অন্য কারো কোন ধারনাই ছিলোনা।
এমনি অবস্থায় ১৯৯৩ সালে আমেরিকান মার্কেটে নারীদের জন্য হ্যাসেলের আবিষ্কৃত অতি উদ্ভট ডিজাইনের কনডম, প্লাস্টিকের মতো শক্ত অথচ হ্যাসেল দাবী করছেন ইন্টার-কোর্সের সময় এ শক্ত অনুভূত হবেনা- এমন অবস্থায় বাজার জাত হলে আমেরিকান হেলথ এক্সপার্টদের মতে এই কনডম নারীদের এইচ আই ভি ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ সহ অনাকাঙ্ক্ষিত প্র্যাগন্যন্সি কোন রকম ঝামেলা ও সঙ্গী পুরুষদের সাথে বাদানুবাদ না করেই অনায়াসেই সুরক্ষা ও প্রতিরোধ করা যাবে, যা তদের মতে তখনকার সময়ে এইচ আই ভি সংক্রমণ ও ইনফেকশন ৯৭% থেকে নেমে ৯৪% হয়েছিলো এই ফিমেইল কনডম ব্যবহারের ফলে।
মহিলাদের জন্য প্রথম কনডম আবিষ্কারের দুই দশক পরে এসেও দেখা গেছে, মহিলাদের জন্য এই ডিভাইস এখনো পুরুষের কনডমের ন্যায় অনেক সিমিলার রয়ে গেছে, যা নারীদের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, সাংবাদিকদের কাছে মূল্যায়নের তুল্য হয়নি, ক্লিনিশিয়ানদের কাছে রীতিমতো থেকে গেছে অবহেলিত। বর্তমানে ১.৬% ফিমেইল কনডম বিশ্বব্যাপী মহিলাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে ( ওয়ার্ল্ড হেলথ এর তথ্য সূত্র)।
বর্তমানে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সহ বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠান সমূহ এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে এই ফিমেইল কনডম রি-ডিজাইন আর রি-ইনভেন্টেড করে বাজারজাত করার জন্য এগিয়ে এসেছে ।
লিপারের মতে, শুরুতে ফিমেইল কনডম ছিলো খুব জটিল প্রকৃতির। আর এখন যেহেতু অধিক মাত্রায় এইডসের মতো ভয়ঙ্কর রোগ বেড়েই চলছে, আমেরিকান নারীরা এর ভয়াল থাবার শিকার অধিক হারে, মহিলাদের গ্রুপ এখন কাউন্সিল সহ নানা শিক্ষানবিসের মাধ্যমে অবগত হয়ে এই ফিমেইল কনডমের দিকে ঝুঁকছে। আফ্রিকার দেশসমূহ, ভারত সহ এশিয়ার অঞ্চলে গরীব নারীদের মরণ ব্যাধির সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষার বিপরীতে এখন তারাও ফিমেইল কনডমের দিকে ঝুঁকছে।আর যে সব সম্পর্কের ভিত্তি খুব নড়বড়ে, বিশ্বাসের অভাব প্রকট, সেসব ক্ষেত্রে নারীরা প্র্যাগন্যান্সি থেকে সুরক্ষার জন্যে নিজের পার্টনার বা স্বামী বা বন্ধুকে কোন কিছু না জানিয়েই অনায়াসে অথবা পার্টনারের সাথে কনডম পরিধানের জন্য মনোমালিন্য না করে ফিমেইল কনডম ব্যবহার করেই নিজেকে সুরক্ষা করার ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষণীয় সেশন ও কাউন্সিলিং এখন লিপারের ফার্মাসিউটিক্যাল সহ উইকনসিন ফার্মাকল, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, ইউএনএফপি সহায়তা দিচ্ছে বলে জানালেন।
লিপারের মতে, এখনো ফিমেইল কনডমের সহজলভ্যতা বা বাজার জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে দুটো বাধা রয়ে গেছে। কেননা পুরুষদের কনডম যেখানে সস্তায় ১ ডলারের মধ্যে পাওয়া যায়, সেখানে নারীদের কনডম মূল্য ৫ ডলার বা ৩ পাউন্ড প্রতিটির বাজার মূল্য রয়ে গেছে, যা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার জন্য সহজ লভ্য নয়। দ্বিতীয়ত: পুরুষদের কনডম প্যাকেট যেমন বাজারজাত হয়েছে, নারীদের কনডম ঠিক তার বিপরীত- পুরোটাই খোলামেলা প্যাকেট, যা অনেক রক্ষণশীল সমাজে বাজারের শেলফ থেকে ক্রয় করতে অনেক বাধা হিসেবে লিপার দেখছেন। যদিও এখন অনেক মহিলাই নানান সেশনের মাধ্যমে বা হেলথ ওয়ার্কারদের কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে কার্ভের মধ্যে কিভাবে কনডম সেক্সের সময় পড়তে হয় শিখে গেছেন, তারপরেও এক তৃতীয়াংশ নারীরা এখনো এই কনডম পড়ার ক্ষেত্রে এখনো অনেক কঠিন এক ব্যাপার বলে তাদের কাছে রয়ে গেছে সঠিক শিক্ষার অভাবে। ২০০৪ সালে এমই কালের নামের সোসিওলজিষ্ট তার পেপারে এই নারীদের কনডম কে নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন, এর বিভিন্ন পার্ট নিয়ে তুলনামূলক আলোকপাত করেছেন সহজসাধ্য করার জন্য, তারপরেও অনেক ব্যাঙ্গাক্তক ব্যাপ্তি রয়ে গেছে।
১৯৯৬ সালে উইসকনসিন ফার্মাকলের নাম পরিবর্তন করে ফিমেইল হেলথ কোম্পানি করা হয় এবং এর পর থেকে বিশ্বব্যাপী, দেশে দেশে সরকার প্রধান ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে নারীদের রিস্ক ফ্যাক্টর সমূহের বিপরীতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে সুরক্ষার কবচ হিসেবে ফিমেইল কনডম নিয়ে কাজ ছড়িয়ে দেয়া হয় ভারত, জিম্বাবুয়ে, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল সহ আমেরিকান নারীদের মধ্যে। ২০০০ সালে আফ্রিকান অঞ্চলে ডায়াগনোসের মাধ্যমে জানা যায় ৬০% নারী এইচআইভি সংক্রমণের শিকার, যাদের অধিকাংশ আবার দীর্ঘমেয়াদী এই রোগে ভুগছেন। একই সময় কুনাকা নামের জিম্বাবুয়ান মিডওয়াইফ এবং টিচিং নার্স তাদের কাছে বলেন এইডসের সংক্রমণে তার দুজন কাজিন এবং পরিবারের তিনজন নারী সদস্য নিহত হয়েছেন। সেজন্যে প্রথমবারের মতো এই ফিমেইল কনডম দেখেই তিনি এবং তার সাথের অন্যান্য নারীরা আকৃষ্ট হয়ে যান এবং এই জন্য খুশী হন যে অন্তত এইডসের মতো মরণব্যাধির সংক্রমণ থেকে তারা সুরক্ষিত হবেন। তিনি আরো বলেন প্রথম দেখাতে তার মনে হয়েছিলো ফিমেইল কনডমের এই প্ল্যাস্টিক তার ভিতরে ঢুকানোর পরে ডিস-কমফোর্ট ফিল করবেন। তবে কুনাকা বলেন, তার পার্টনার ঐ সময় অবিশ্বস্ত এবং সন্দেহ প্রবণ, তাই সেক্সুয়াল হাইজিন হিসেবে তিনি ডিসকমফোর্ট মনে করেও ব্যবহার করতে সম্মত হন, কেননা তার পার্টনারের কাছে তাকে অন্তত সেক্সের আগে কাকুতি মিনতি করতে হবেনা কনডম পরিধানের জন্য।
এর পর থেকেই তিনি ফিমেইল কনডম ব্যবহার করে আসছেন। তার মতে আফ্রিকার কন্টেক্সটে একজন পুরুষ বহুগামি বা বহু নারী বিয়ে করতে পারে আইনসম্মত ভাবেই।সেজন্যে ফিমেইল কনডম তাকে সেইফার সেক্সের জন্য নেগোশিয়েট করার পাওয়ার দিয়েছে। বর্তমানে কুনাকা জিম্বাবুয়েতে ইউএনএফপির তত্বাবধানে জিম্বাবুয়ান নারীদের মধ্যে কাজ করছেন এই ফিমেইল কনডম নিয়ে।
বিশ্বের কোন কোন প্রান্তে সেক্স ওয়ার্কারদের মধ্যে ফিমেইল কনডম বণ্টন করা হচ্ছে। তা দেখে ২০১৩ সালে রাইটার এবং টপ ফেমিনিষ্ট ব্লগার জেবেল তার সাইটে এই ফিমেইল কনডম বাজারজাত স্টপ করার জন্য লিখেছিলেন এর ডিসকমফোর্টের কথা বিবেচনা করে।
দুই দশক হতে চললো এখনো এই ফিমেইল কনডম পাবলিকলি নারীদের মধ্যে সাড়া ফেলতে পারেনি, শেলফেই স্থান রয়ে যায়।
৪০ বছরের কাছাকাছি সময় পরে , পাথ- নামের সিয়াটল ওয়াশিংটনের গ্লোবাল নন-প্রফিট হেলথ অর্গেনাইজেশনের ফিমেইল কনডম রেডিক্যালি রি-ইনভেন্টেডে এবং রি-ডিজাইন করার জন্য এগিয়ে আসে। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে থাইল্যান্ড – যারা এই ফিমেইল কনডমের টেস্টার এবং রিসার্চার হিসেবে নতুন এক অসাধারণ সফট, ক্যাপসুল আকারে ফিমেইল কনডম এর মেডিক্যাল টেকনোলজি আবিষ্কার করে, যা রীতিমতো প্রাক-সময়ের হ্যাসেলের আবিষ্কৃত কনডমকে অনেক অনেক পেছনে ফেলে দেয়।
২০১৩ সালে পাথ বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মধ্যে হুলশ্তূল ফেলে দেয় ফিমেইল কনডমের থাইল্যান্ডের আবিষ্কৃত ডিসলভিং এপ্লিক্যাটর।থাইল্যান্ডের ইঞ্জিনিয়াররা ফিমেইল কনডম এমন করে রি-ডিজাইন করেন- যেখানে সফট ক্যাপসুল ভ্যাজিনার ভিতরে ঢুকানোর পর, যেভাবে নারীদের মাসিকের সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে ট্যামপনের মতো এই ক্যাপসুল ঢুকানোর পরিমাণ হবে অথচ ঢুকানোর ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে সেই ক্যাপসুল মেল্ট হয়ে কনডম পুরোপুরি ভাবে রিলিজ করে দিবে ভ্যাজিনার ভিতরেই অটোম্যাটিক্যালি। এবং এটা মহিলা নিজেরাই নিজেদের হাত দ্বারা ভিতরে প্রেস করে ঢুকাতে পারবেন। সাউথ আফ্রিকা ও চীনে এই ক্যাপসুল ফিমেইল কনডম লিমিটেড আকারে বাজারজাত করে বিক্রি শুরু হয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালে ইউনাইটেড ন্যাশন্স পপুলেশন ফান্ড-ইউএনএফপি ফিমেইল কনডম কিউপিড বাজারে নিয়ে আসে, যা ভারতীয় কনডম কোম্পানি ম্যানুফ্যাকচারিং করেছিলো। কিউপিড একধরনের স্পঞ্জ এর মতোই ন্যাচারাল ল্যাটেক্স দিয়ে তৈরি, দামে একেবারে সস্তা এবং সহজলভ্য।
বাজারে আরো যেসব ফিমেইল কনডম রয়েছে, বর্তমানে তা ইউএনএফপির রিভিউতে রয়েছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চায়নাতে বিক্রি হচ্ছে ফোনার্স নামক ভিতরে ঢুকানোর একধরনের ষ্টিক। এছাড়াও রয়েছে পেন্টি কনডম- রিইউজেবল কিকার্স ভ্যাজিনা অপেন করার সময় ফিক্স করতে হয় পেন্টি না খুলেই, শুধু মাত্র সেক্সের পূর্বে নারী তার নিজ হাত দিয়ে প্রেস করে ঢুকাতে হয় অথবা পুরুষ তার পেনি দিয়ে প্রেস করে ঢুকাতে হয় অন্তর্বাস না খুলেই।
লস এঞ্জেলসে একধরনের সিলিকন ফিমেইল কনডম আবিষ্কৃত হয়েছে, যা কনডম না খুলেই ভ্যাজিনাতে পুশ করে ঢুকাতে হয়।
এতো সব প্রডাক্টের মধ্যে সব প্রডাক্টই সব মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য বা স্যূট নাও করতে পারে। সাউথ আফ্রিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চার ম্যাগস বেকসিনস্কা বলেন, ভিন্ন নারীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রডাক্ট উপযোগী হতে পারে। একই প্রডাক্ট সকলের জন্য কোনভাবেই প্রযোজ্য নয়।
বর্তমানে রিসার্চাররা জানতে পেরেছেন, অধিকাংশ নারীরা এখন সেইফার সেক্স এবং অন্যের দ্বারা বা পার্টনারের দ্বারা ইনফেকশন ডিজিজের সংক্রমণ বিশেষ করে এইডস থেকে সুরক্ষা পেতে আজকের যুগে নতুন ডিজাইনের সহজে মেল্টেড ক্যাপসুল বা কিউপিড কনডম ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন তাদের নিরাপদ স্বাস্থ্যের জন্য।
২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর ইউএনএফপির তত্বাবধানে বিশ্বব্যাপী ফিমেইল কনডম দিবস পালনের রীতি চালু হয়ে আসছে। তারা বলছে অধিকহারে রেডিও, টেলিভিশন, মিডিয়া এডভার্টাইজের মাধ্যমে ভালনারেবল ছাড়াও বিশ্বব্যাপী নারীদের স্বাস্থ্যঝুকি থেকে রক্ষা কল্পে ফিমেইল কনডমকে জনপ্রিয় করা সম্ভব। জিম্বাবুয়ে, মালয়, দক্ষিণ আফ্রিকা আর ভারতের কিছু অঞ্চলে হেয়ার ড্রেসার শপ আর বিউটিশিয়ান, রেডিও, টিভি এডের মাধ্যমে এর প্রচারাভিযানে সেখানে বেশ সাফল্য পাওয়া গেছে বলে ইউএনএফপি দাবী করছে। আমেরিকার লিপার আর ড্যানিশ ডক্টর হ্যাসেল তাদের আবিষ্কৃত সেই পুরনো আগলি কনডমের এই নতুন ও আধুনিক উন্নত ডিজাইনের সাফল্যে অনেক আশাবাদী।
(মোসাইক সাইন্স ম্যাগাজিন আর গার্ডিয়ান জার্নালের সহায়তায় দীর্ঘ রিসার্চ পেপারের সংক্ষেপিত করে এখানে ফিমেইল কনডমের তথ্য তুলে ধরা হলো )
লেখক- সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ
salim932@googlemail.com
(সৌজন্য: প্রিয়)