একাই ৪০০ ভোট ছাত্রলীগ সভাপতির !!

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোট শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময় সকাল ৮টায়। উপজেলার ৩৬টি কেন্দ্রের অধিকাংশ কেন্দ্রেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদের পাওয়া গেল না।

জানা গেছে গত ৪/৫ দিনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সসহ একাধিক নেতা কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। মামলার কারনে এজেন্টরা ঘর থেকেই বের হননি।উপজেলার রাজগুরু প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় পৌছে দেখা গেল বড়সড় লাইন। কিন্তু লাইনের মাথায় যিনি অপেক্ষা করে আছেন তিনি নাকি আধ ঘন্টা হল ভিতরে ঢুকতে পারছেন না। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বুথের ভিতরে ঢুকে চোখ ছানাবাড়া।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মিলন একাই ব্যালটে সিল মেরে যাচ্ছেন। ৪টি বই এরই মধ্যে শেষ করে ফেলেছেন। জানা গেল সাড়ে ৯টার মধ্যে এ কেন্দ্রে ৩৫০০ ভোটের মধ্যে ১৫০০ কাস্ট হয়ে গেছে।

দ্রুত সাংবাদিকরা ছবি তুলে ফেলল। আর যায় কোথায়! অগ্নিমুর্তি মিলন কালের ক›ন্ঠ ও স্থানীয় দৈনিক আজকের বার্তার সাংবাদিক এম সুহাদকে মারতে মারতে বুথের বাইরে নিয়ে এল। চেষ্টা হল ক্যামেরা ছিনতাইয়ের। এ সময় এলাকাবসাী ও পুলিশের সহায়তা রক্ষা পেল সে। প্

রিজাইডিং অফিসার খোরশেদ আলম সাময়িক ভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বচানী কর্মকর্তা বাকায়েত হোসেনের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি ঘটনা শুনেছেন বলে জানান। একই উপজেলার আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই চিত্র দেখা গেলো। বিএনপির এজেন্ট নেই। এক ঘন্টায় প্রিজাইডিং অফিসারের দাবি ৩০০ ভোট কাষ্ট হয়েছে। তবে বাইরে বিএনপি ভোটারদের দাবি আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারা হয়ে গেছে।

মন্তব্য