দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না তারেককে : ফখরুল
ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সরকার তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। তারেক রহমানের দশম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে এ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক-এগারোর সরকার তারেক রহমানকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে তার ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এখন তাকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে অতীতের মতো এখনো মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রাজনীতি থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্যই এই চক্রান্ত।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমান এখন বিদেশে নির্বাসিত। অসুস্থ অবস্থায় তিনি লন্ডনে রয়েছেন। আমরা প্রতি মুহূর্তে প্রত্যাশা করছি, তিনি সুস্থ হয়ে অচিরেই দেশে ফিরে আসবেন এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্ব দেবেন।’
ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসানের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন ভুইয়া, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, বর্তমান সহ-সভাপতি তারেক উজ্জামান তারেক, নাজমুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর পূর্বের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মানিক, কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ সংগঠনটির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।
এদিকে দোয়া মাহফিল শেষে তবারক বিতরণকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ও তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদেরকে লোহার রড ও লাঠি নিয়ে প্রতিপক্ষ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিতেও দেখা গেছে।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হাতে এ সময় ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসানকে কিছুটা লাঞ্ছিত হতে দেখা যায়। এতে রাকিব হাসান ও হাবিবুর রহমান হাবিব নামে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের দুই নেতা গুরুতর আহত হয় বলে জানা গেছে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় সেখানে উপস্থিত ছাত্রদলের অন্য ইউনিটের নেতাকর্মীদের মাঝেও ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। তারা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় আশপাশের দোকানপাটগুলোও দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়।