ফেলনা বোতল দিয়ে বানানো ‘স্বর্গ’!

2016_05_26_11_43_44_AtofylLFyvh3uQJ8h4HFXJoE4NzWOu_original

‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর’। পৃথিবীতেই কি আসলেই ‘স্বর্গ’ তৈরি করা সম্ভব! নাকি কেবলই কবির কল্পনা! সত্য মিথ্যার তর্কে যাচ্ছি না, তবে নিজের তৈরি বোতলদ্বীপকে স্বর্গ হিসেবেই দেখছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ। তার তৈরি এই স্বর্গ মানে বোতলদ্বীপ দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সুদূর মেক্সিকোতে।


বোতলদ্বীপের কারিগর রিচার্ট

এই দ্বীপের কারিগর ৬১ বছরের এক ব্রিটিশ নাগরিক। নাম রিচার্ড সোয়া। তিনি পেশায় একজন শিল্পী। মানুষের ফেলে দেয়া পুরনো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন ওই আশ্বর্য দ্বীপ। তার কাছে এটি এক স্বর্গ। যার নাম দিয়েছেন ‘জোয়েক্সি আইল্যান্ড’। এর আগেও আরো আরো দুটি বোতলদ্বীপ বানিয়েছিলেন রিচার্ড। কিন্তু সেগুলো এটার মত এত মজবুত ছিল না। তাই ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে গেছে। কিন্তু এবার আর তেমনটি হবে না বলেই আশা করছেন তিনি।


প্রেমিকা জোডি বোউলিনের সঙ্গে রিচার্ট

দীর্ঘ সাত বছর ধরে নিজের জন্য এই স্বপ্নের দ্বীপটি তৈরি করেছেন রিচার্ট। দেড় লাখ ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতল জোড়া দিয়ে। তার এই দ্বীপ বানানোর কাজ সম্পূর্ণ হয় ২০০৭ সালে। এই বোতল দ্বীপের ওপরই তৈরি করেছেন নিজের প্রাসাদ মানে তিনতলা বাড়ি। এখানে কী নেই বলুন তো? একজন আধুনিক মানুষের বসবাসের প্রয়োজনীয় সবকিছু রয়েছে ৮ হাজার বর্গফুটের ওই দ্বীপে। ইন্টারনেট কানেকশন, বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থা, বিদ্যুতের জন্য সোলার প্যানেল, কিচেন ও বাথরুম, ওয়াশিং মেশিন, এমনকি স্নানের জন্য জাকুজিও (বাথটাব) ৷


রিচার্টের রান্নাঘর

স্বপ্নের এই প্রাসাদে অবশ্য একা থাকেন না রিচার্ট। সঙ্গে থাকেন প্রেমিকা ও এক পোষা কুকুর। রোজগার করতে বাইরেও যেতে হয় না তাঁকে। কারণ প্লাস্টিকের এই ভাসমান দ্বীপ দেখতে মেক্সিকোর ইসলা মুখেরেস বে-তে সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে পর্যটকদের। তাঁদের ডোনেশনে দিন ভালই কেটে যায় রিচার্টের। তিনি প্রমাণ করেছেন জীবনের কোনো কিছুই ফেলনা নয়। তার ভাষায়,‘পৃথিবীতে ফেলে দেয়া জিনিস দিয়েও স্বর্গ তৈরি করা সম্ভব।’

মন্তব্য