সংবাদ সম্মেলন করলেন কিন্তু প্রমাণ দেখালেন না সেলিম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ : বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কান ধরে উঠবসের ঘটনায় আবারো নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন এমপি সেলিম ওসমান। কিন্তু ঘোষণা দিয়েও কোনো প্রমাণাদি হাজির করলেন না তিনি।
তিনি বলেছেন, পেছনের ঘটনা কেউ প্রকাশ করেনি। ওই শিক্ষক নিজেই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিল। আমি সে কাজটিই করেছি। স্থানীয় সবাই আমাকে চাপ দিয়েছিল। সে কারণে আমি একজন নাস্তিকের বিচার করেছি।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত লাঞ্ছনার ঘটনায় নিজের অবস্থানের বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি সেলিম ওসমান এ কথা বলেন। সভায় একটানা বক্তব্য দেন তিনি। শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়।
সভায় নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, ব্যবসায়ী সমাজ, সর্বদলীয় রাজনৈতিক নেতা, শ্রমিক নেতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতি, নারায়ণগঞ্জ মহিলা সংস্থা ও নারী নেত্রী, নারায়ণগঞ্জ শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বন্দরের শিক্ষক ইস্যুতে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ইসলাম ও ধর্ম নিয়ে শ্যামল কান্তি ভক্তের ব্যাপারে প্রমাণাদি দেয়ার কথা ছিল সেলিম ওসমানের। কিন্তু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভার অজুহাতে ওই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়।
সেলিম ওসমান বলেন, এত বড় ঘটনা ঘটে গেল অথচ আমার সংসদের কোনও বন্ধুই আমাকে টেলিফোন করে জানতে চাননি। কোনও আলোচনা করেননি। তারা তো আমাকে ডাকতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন। কিন্তু তারা সেটি করলেন না।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গণপিটুনি দেয়ার পর কান ধরে উঠবস করান এমপি সেলিম ওসমান।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত ১৯ মে সংবাদ সম্মেলন করেন সেলিম ওসমান। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি কার কাছে ক্ষমা চাইব, যিনি আল্লাহকে কটূক্তি করেছেন? তবে আমি লজ্জিত এবং সমাজের কাছে দুঃখিত যে তারা এমন একটি ভিডিও দেখেছেন যাতে তারা আমাকে ভুল বুঝেছেন।