হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলা বিচারিকে না পাঠানোর নির্দেশ

2016_01_25_13_38_14_uDJ8V2pQQSnXvWiovUrY1J3MAKSNF0_original

ঢাকা: হাইকোর্টে বিচারাধীন দেওয়ানি আপিল মামলাগুলো বিচারিক আদালতে ৩ মাসের মধ্যে ফেরত না পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট সংশোধন করে দেওয়ানি আদালতের বিচারকদের আর্থিক এখতিয়ার বৃদ্ধির ফলে হাইকোর্টের বিচারাধীন আপিল মামলাসমুহ বিচারিক আদালতে পাঠানোর বিধান কেন বে-আইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ মে) বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাইদুল আলম খান।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট-১৮৮৭ সংশোধন করে গত ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সংশোধিত আইন অনুযায়ী এখন একজন সহকারী জজ ২ লাখের পরিবর্তে ১৫ লাখ, সিনিয়র সহকারী জজ চার লাখের পরিবর্তে ২৫ লাখ এবং জেলা জজ পাঁচ লাখের পরিবর্তে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

সংশোধিত এই আইনের ৪ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, সংশোধিত আইনের ফলে উপরোক্ত মূল্যমানের হাইকোর্টে বিচারাধীন আপিলগুলো শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য জেলা জজ আদালতে ফেরত যাবে।

আইনের এই ধারাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন ব্যারিস্টার সাইদুল আলম খান, ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল সাঈদ ও ব্যারিস্টার শুভ্রদেব রাতুল। আবেদনে বলা হয়, সংশোধিত এই আইনের ফলে বিচারপ্রার্থী জনগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ হাইকোর্টের বিচারাধীন আপিলগুলো শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য নিম্ন আদালতে ফেরত গেলে সেখানে বিচারের একটি ধাপ বাড়বে। কারণ নিম্ন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির পর সংক্ষুব্ধ পক্ষ পুনরায় হাইকোর্টে আপিল করবেন। ফলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির কারণ হবে, বাড়বে মামলা জট।

মন্তব্য