সংসদে সংরক্ষিত ৬০ আসন, সমহারে মন্ত্রী চায় হিন্দু মহাজোট

2016_06_17_21_48_48_f4MW8q1r1uUgdiyzlmI8w1nzSd3v7l_original

ঢাকা: দেশে বানর রক্ষা, কচ্ছপ রক্ষার আইন থাকলেও হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষা করার কোনো আইন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ্র চন্দ্র প্রামাণিক। হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে গোবিন্দ চন্দ্র বলেন, হাজার বছরের নির্যাতন নিপীড়নে ১০০ পারসেন্ট হিন্দু থেকে আমরা ৮ দশমিক ৫ পারসেন্টে এসে পৌঁছেছি। প্রতিদিনই দেশের নানা স্থানে হিন্দু বাড়িঘর জমি দখল, ভয় ভীতি প্রদর্শন করে দেশত্যাগে বাধ্যকরণ, হত্যা, ধর্মান্তকরণ, মঠ মন্দির, প্রতিমা ভাঙচুর, নারীদের শ্লীনতাহানী ও কিশোরী অপহরণ চলছেই।

গত কয়েক দিনের মধ্যেই পটুয়াখালীর বাউফলে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ, পাবনা সৎসংঘের পুরোহিত নিত্য রঞ্জন পান্ডে, ঝিনাইদহের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী, গোপাল গঞ্জের সাধু পরমানন্দ রায়, টাংগাইলের নিখিল জোয়ার্দার, নেত্রকোনার অর্জুন বিশ্বাস, গোবিন্দ গঞ্জের তরুন দত্তকে হত্যা করা হয়েছে। আইএস এর দায় স্বীকার ও একই সঙ্গে খুনিচক্রের কোনো হদিশ না পাওয়ায় দেশে এক ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দলে দলে দেশ ত্যাগের কথা ভাবছে।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে  হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তাদের মনোবল ফিরিয়ে আনা জরুরি। আর সেই কারণে সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন তিনি। দাবিগুলো হলো:

আগামী পহেলা জুলাই তারিখের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে বিচার করা; জাতীয় সংসদসহ সব নির্বাচন চলাকালে ও নির্বাচন পরবর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা ও নির্যাতন নিরোধ কল্পে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব জাতীয় সংসদে নিশ্চিত করতে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা; হিন্দু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘুদের থেকে সমহারে মন্ত্রী নিয়োগ করা।

দাবি মানা না হলে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দেন গোবিন্দ চন্দ্র।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুবাস সাহা, সদস্য অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, মানিক চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

মন্তব্য