ফাহিমের কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সতর্ক থাকার পরামর্শ
মাদারীপুর: মাদারীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ফাহিমের জব্দকৃত কম্পিউটারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ। সেই তথ্য দিয়েই পুলিশ পরবর্তী ধাপে কাজ শুরু করেছে।
ঘটনার দিন (১৫ জুন) জনতার হাতে আটক হওয়া ফাহিমের দেয়া তথ্যানুযায়ী মাদারীপুর পুলিশ তাকে নিয়ে ঢাকায় অভিযান চালায়। এসময় ফাহিমের বাসা থেকে তার ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার জব্দ করে পুলিশ।
এদিকে আরো জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বলে সদর থানার ওসি জানান, সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে। অপরিচিত লোকজনের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশকে জানাতে হবে।
মাদারীপুর সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার আগে ফাহিমের কাছ থেকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। প্রতিটি স্তরেই তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফাহিমের দেয়া তথ্যে সে হিযবুত তাহরির সক্রিয় সদস্য ছিল বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে। মাদারীপুরসহ আশপাশের জেলায় হামলার পরিকল্পনাও ছিল এদের। তাই পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করে যাচ্ছে হামলায় অংশ নেয়া বাকিদের ধরতে।
ওসি জিয়াউল মোর্শেদ আরো বলেন, ‘ফাহিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার আগে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের দিয়েছে। যা অনুসরণ করেই প্রতিটি মুহূর্তে কাজ করছি। জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দিনে কিংবা রাতে বাইরে চলাফেরা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন জানান, দেশে একটি অরাজকতা সৃষ্টি করার লক্ষে জঙ্গিরা তৎপর রয়েছে। মাদারীপুরে জঙ্গি হামলায় অংশ নেয়া বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং পুরো জেলা জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রভাষক রিপন চক্রবর্ত্তীর নিজ ভাড়া বাসায় হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাবার সময় গোলাম সাইফুল্লাহ ফাহিমকে (২০) আটক করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। এদিকে শুক্রবার বিকেলে ফাহিমকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার ভোরে জেলা সদরের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মিয়ারচরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায় ফাহিম।