রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা: গ্রেপ্তার ৫ মিয়ানমার নাগরিকের দায় স্বীকার

2016_06_30_17_08_25_RAU33qAbxHH7UjTEHW5dXaMNG6X1rh_original

কক্সবাজার: জেলার টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট ও আনসার কমান্ডার হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭ এর একটি দল। গ্রেপ্তার পাঁচ জনই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ভোর ৩ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পার্শ্ববতী পাহাড়ি এলাকায় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত রফিক প্রকাশ মামুন মিয়া (৩০)। সে মোচনী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত জালাল আহমেদের ছেলে। মোচনী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত বাছা আলীর ছেলে চট্টগ্রামের হালিশহরে বর্তমানে বসবাসকারি আবদুর রাজ্জাক (২৫) ও আবদুস সালাম (২৯), মোচনী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ফজল আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ হারুন (৩০), মৃত আমির হামজার ছেলে জয়নাল প্রকাশ জানে আলম (৫০)।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মিফতা উদ্দিন আহমদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রফিক জানিয়েছে- ঘটনার রাতে সে শফি আলম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ছিল। ওখান থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যাম্পের পাশের ইটভাটার কাছে। ওখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল শফি আলম, খাইরুল আমিন, রাজ্জাক, নুর আলম ও হারুন। ২০ হাজার টাকা দেয়ার শর্তে রফিক এ হামলায় অংশ নেন।

ঘটনার পরের দিন রাজ্জাকের কাছ থেকে এ টাকা নেয়ার কথা ছিল। তার পর তারা হামলা পরিচালনা করে এবং লুট করা অস্ত্র ও গুলি তিনটি বস্তা ভর্তি করে খাইরুল, রাজ্জাক ও নুর আলম কাঁধে নিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে রফিক। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও লুট করা অস্ত্র ও গুলি বর্তমানে কোথায় তা তারা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী এলাকায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। মুখোশ পরিহিত ৩০/৩৫ জনের সশস্ত্র হামলায় এক আনসার সদস্য নিহত এবং ১১ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০ টি গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এর আগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার নুরুল আবছার আদালতে জবানবন্দি প্রদানকালে হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

মন্তব্য