বিএনপির ব্যয় কমায় ঘাটতিও কমেছে
আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি- এই বৃত্ত থেকে গত এক বছরেও বের হতে পারেনি বিএনপি। তবে আগের বছরের তুলনায় ঘাটতি কমেছে প্রায় ৪১ লাখ টাকা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া ২০১৫ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী গত বছর দলের ঘাটতি ছিল ১৪ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে এই অংক ছিল ৫৫ লাখ টাকারও বেশি।
আগের বছরের তুলনায় গত বছর বিএনপির ঘাটতি কমার কারণ ব্যয় হ্রাস। এই এক বছরে বিএনপির আয়ও কমেছে। তবে খরচ কম হয়েছে আরও বেশি। ২০১৪ সালে বিএনপির দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪ টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছিল ব্যয় ছিল তিন কোটি ৫৩ লাখ তিন হাজার ৫০৯ টাকা। তখন ঘাটতি ছিল ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার ১৬ টাকা।
আর ২০১৫ সালে বিএনপির আয় হয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ তিন হাজার ৩৬৫ টাকা। আর এই বছরবিভিন্ন খাতে দলটি খরচ দেখিয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা। এই হিসাবে গত বছর বিএনপির ঘাটতি ছিল ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা।
অর্থাৎ এক বছরে বিএনপির আয় কমেছে এক কোটি ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৩ টাকা। আর খরচ কমেছে এক কোটি ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬০ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে ২০১৫ সালের পঞ্জিকা–বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় বিএনপি। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ কে এম আমিনুল হক এবং যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলামের কাছে এই হিসাব বিবরণী জমা দেন।
এ কে এম আমিনুল হক বলেন, ‘আমাদের এবার ঘাটতি সোয়া ১৪ লাখ টাকার মতো, যা দলের তহবিলের সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া হবে।’
বিএনপির জমা দেয়া হিসাব অনুযায়ী গত দুই বছর ধরে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলেও দলের তহবিলে এখনও পৌনে তিন কোটি টাকা জমা আছে।
২০১৫ সালের শুরুতে বিএনপির তহবিলে উদ্বৃত্ত ছিল দুই কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪৫ টাকা। আর বছর শেষে এর আকার দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার ৪৬১ টাকা।