ম্যারাথনে হাত ধরে বিপাকে যমজ বোন
অলিম্পিকে আজ অবধি ব্যতিক্রমী অনেক নিদর্শন দেখেছে বিশ্ব। সেই সব নিদর্শনে মিশে আছে ‘স্পিরিটে’র ছোঁয়া। রিও গেমসে জার্মানির দুইবোন এমন এক কাণ্ড করতে যেয়ে নিজ দেশে সমালোচিত হচ্ছেন।
ওই দুই বোনকে দেখতে হুবহু একই রকম। লিসা হ্যানের এবং অ্যাননা নামের দুই তরুণী জার্মানির হয়ে ম্যারাথনে অংশ নেন। কঠিন ওই দৌড় প্রতিযোগিতায় তারা হাতে হাত রেখে ক্রস লাইন স্পর্শ করেন। শেষ পর্যন্ত তারা ৮১ ও ৮২তম স্থান দখল করেন।
তাদের কোচ এই কাণ্ড দেখে রাগ সামলাতে পারছেন না। তিনি বলছেন, ‘ইচ্ছে করলে ওরা আরো ১৫ মিনিট আগে ক্রস লাইন স্পর্শ করতে পারতো। সেটা না করে অযথা সময় নষ্ট করেছে। অলিম্পিক গেমসের মতো আসরে এই কৌতুক করা যায় না।’
২৬ বছর বয়সী ওই দুই বোন সময় নেন দুই ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। যাদের সেরা টাইমিংয়ের চেয়ে ১৫ মিনিট বেশি।
এই ইভেন্টে যিনি প্রথম হয়েছেন তিনি সময় নেন ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট।
তরুণীদ্বয়ের কোচ কুরসচলিগেন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘জয় কিংবা পদক অলিম্পিকে বড় কথা নয়। প্রত্যেক অ্যাথলেটের নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেয়া উচিত। ওদের উদ্দেশ্য ছিল মিডিয়ায় কভারেজ পাওয়া।’
শুধু কোচই নন; অনেক দর্শকও যমজ দুই বোনকে সমালোচনায় বিদ্ধ করছেন। বলাবলি হচ্ছে, স্পন্সরদের দৃষ্টি কাড়তে তারা এই কাজ করেছেন।
দুই বোন শুধু যে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তা কিন্তু নয়। কেউ কেউ আবার সমর্থনও করছেন। এক দর্শকের মন্তব্য, ‘তোমরা দারুণ কাজ করেছো। জার্মানির এমন অ্যাথলেটই দরকার।’
দুই বোন নিজেদের এমন ব্যক্তিক্রমী দৌড় নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যও করেছেন, ‘৮১ কিংবা ৮২তম স্থান হয়তো আমরা আশা করিনি। কিন্তু তাতে কিছু যায়-আসে না। আমরা কিসে খুশি হবো? চূড়ান্ত লাইন অতিক্রম করে? কখনোই না। বোনের হাতে হাত রেখে দাগ পার করার এই মুহূর্ত এই জীবনের সেরা স্মৃতি।’