থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা দেশ ছেড়েছেন বলে মনে করেছেন ।
‘সিটিজেননিউজডেক্স’
শুক্রবার আদালতে হাজির না হওয়ায় ইংলাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার ওই মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইংলাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৭ সেপ্টেম্বর রায়ের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ইংলাকের আইনজীবী বলেন, “তিনি অসুস্থ, তার কানে সমস্যা হয়েছে। এ কারণে আমার মক্কেল আদালতে উপস্থিত হতে পারেনি।” যদিও ইংলাকের আইনজীবীরা আদালতে এ সংক্রান্ত কোনো চিকিৎসার প্রমান দেখাতে পারেননি।
বিবিসি জানায়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ইংলাকের অসুস্থতার বিষয়টি আমলে নেননি এবং দেশ ছাড়তে পরেন এই আশঙ্কায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জরি করে রায়ের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন। যদিও মামলার শুরু থেকেই ইংলাক গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন ইংলাক। ৫০ বছর বয়সী ইংলাক ২০১৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর আগে ২০০৬ সালে তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাও ক্ষমতাচ্যুত হন। চালে ভর্তুকি প্রকল্পে লাখ লাখ ডলার অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর ২০১৫ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
ইংলাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সমর্থক কৃষকদের খুশি করতে চাল ক্রয় প্রকল্পে আন্তর্জাতিক বাজার দরের চেয়ে বেশি মূল্যে চাল কিনেছিল ইংলাক সরকার। এতে সরকারি গুদামে চাল উপচে পড়ে, কিন্তু বেশি দামে কেনায় আন্তর্জাতিক বাজারে সেই চাল রপ্তানি করা যায়নি।
ক্ষমতাচ্যুত হলেও এখনও দারুণ জনপ্রিয় ইংলাকের রায়ের দিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও তার শত শত সমর্থক সুপ্রিম কোর্টের সামনে জড় হয়।