পটুয়াখালীতে অনিবন্ধিত ৪৯ রোহিঙ্গা পরিবার শনাক্ত

পটুয়াখালী: উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীসহ দেশের ছয় জেলায় অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) গণনার কাজ শেষ হয়েছে। শেষ হওয়া এ শুমারিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটার লতাচাপলি মৌজায় শনাক্ত করা হয়েছে মোট ৪৯ টি অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিক পরিবার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুমারি শুরু হয়ে চলে ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শুমারির এই কাজ সম্পন্ন হলে জাতীয় ভাবে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো সহজ হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর যুগ্ম পরিচালক মিজানুর রহমান খন্দকার বলেন, ‘আমি ও মানুষ আমার আছে নিজের পরিচয়। শুমারিতে নাম লেখালে দূর হবে সব ভয়। বাংলাদেশে থাকতে হলে নিরাপদ-নির্ভয়, শুমারিতে নাম লিখিয়ে কাটাবো সংশয়’ এমনই সব স্লোগান নিয়ে সারা দেশের ছয় জেলায় মাঠ পর্যায়ে ছয়দিন ব্যাপী মিয়ানমারের অনিবন্ধিত নাগরিকদের গণনার কাজ শেষ হয়েছে। এ কাজে পটুয়াখালী জেলায় ৮৩৪ জন গণনাকারী ও ৮৪ জন সুপারভাইজার গণনার কাজে অংশ নেয়। এছাড়াও শুমারির কাজকে পরিচ্ছন্ন করতে আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছে।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পটুয়াখালী অফিসের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গির হোসেন জানান, পটুয়াখালীর সব উপজেলায় এই শুমারি পরিচালিত হলেও কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি মৌজা ছাড়া অন্য কোনো উপজেলায় অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিকদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ওই মৌজায় মোট ৪৯টি অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এদিকে, প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর নির্ধারিত ফর্মে গণনাকারীরা যে তথ্য সংগ্রহ করছেন তাতে প্রতিটি বাড়ির অভিভাবকসহ পরিবারে মোট সদস্য সংখ্যা ও মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর বিশেষ কোডের মাধ্যমে মিয়ানমার ও বাংলাদেশি নাগরিকদের আলাদা করা হচ্ছে।

গণনার কাজে জড়িতরা জানান, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য কিংবা শিক্ষার সুযোগ, শুমারিতে নাম লেখালে দূর হবে দুর্ভোগ’ এমন স্লোগানকে মাথায় রেখেই বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিকরা উৎসাহ সহকারে প্রয়োজনীয় তথ্য দিচ্ছেন।

মন্তব্য