বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ

 

‘সিটিজেননিউজডেক্স’

আরো পানি বেড়েছে ৪৩ নদীতে । সার্বিকভাবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি কিছুটা কমলেও ৪/৫ দিন পর নদীর পানি আবারো বাড়তে পারে।  নদীর পানি উপরের দিকে কমলেও এ পানি গঙ্গা-পদ্মায় মিশে জমা হচ্ছে মধ্যাঞ্চলের নদীতে। মধ্যাঞ্চলের অল্প কয়েকটি স্থানে পানি বিপদসীমার অতিক্রম করেছে।

পানি বিজ্ঞানীদের বক্তব্য অনুযায়ী ৪/৫ দিন মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। ফলে এসব অঞ্চলে বন্যাও হতে পারে। ঢাকার নিম্ন এলাকার কিছু কিছু জায়গায় ইতোমধ্যেই পানি উঠতে শুরু করেছে।

বিপদসীমার সবচেয়ে বেশি উপরে আছে বাহাদুরাবাদ, সিরাজগঞ্জ,সারিয়াকান্দি, আরিচায়,কাজীপুর ও আরিচায় যমুনা নদী। এসব স্থানে পানি বিপদসীমার ৭৫ থেকে ১৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গঙ্গা-যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সুরমা, কুশিয়ারার পানি হ্রাস পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি আরো তিন দিন অব্যাহতভাবে কমতে শুরু করবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড আগামী চার দিনের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বাহাদুরাবাদ ও আরিচায় যমুনা, বাঘাবাড়িতে করতোয়া, আত্রাই নদী, গাইবান্ধায় ঘাগট, এলাসিনে ধলেশ্বরী, হরিহরপাড়ায় বুড়িগঙ্গা, জাগিরে পুরাতন ধলেশ্বরী, কলাগাছিয়ায় ধলেশ্বরী, খুলনায় রূপসা, সংড়ায় গুড় নদী, সুরেশ্বরীতে পদ্মা, তালবাড়িয়ায় গঙ্গা ৪/৫ দিন পরেও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, টঙ্গিখালের পানির সাথে রাজধানীর সম্পর্ক রয়েছে। এসব নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে ঢাকার কোনো কোনো নিচু এলাকায় সীমিত আকারে বন্যা হতেও পারে বলে জানিয়েছেন পানি বিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা,খোয়াই, কংস,  তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, যাদুকাটার মতো আন্ত:দেশীয় নদীতে বন্যা সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না অথবা এসব তথ্য খুব সীমিত পর্যায়ে পাওয়া যায়।

মন্তব্য