ইংল্যান্ডকে নিয়ে চিন্তিত নন নাসির

2016_07_25_18_25_26_vqOjOpwr0CLCOTyzO0pkkvPKqC1Cgk_original

ঢাকা: দুটি টেস্ট এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে সফরে আসার কথা রয়েছে। তবে সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর দেশের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পাল্টেছে। তাই শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার অযুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে আসতে নাও পারে ইংলিশরা। তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে আসা না আসা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন নাসির হোসেন। জাতীয় দলের এই ডানহাতি অলরাউন্ডারের দৃষ্টি রয়েছে পুরোপুর অনুশীলনে।

ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে গত ২০ জুলাই থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হয়েছে। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নাসির হোসেন। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের চেয়ে সবার চোখ রয়েছে নিজের ফিটসের উন্নতির দিকেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে আসা না আসা নিয়ে কেউ খুব একটা চিন্তা করছে না। আমাদের সবার ফোকাস এখন ১৪-১৫ দিনের ফিটনেস অনুশীলনের দিকে।’

টাইগারদের ফিটনেস ক্যাম্পের শুরুতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ট্রেনার ও কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়নের থাকার কথা ছিল। কিন্তু মারিও ছাড়াই শুরু হয়েছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। এমনকি কন্ডিশনিং ক্যাম্পটি চলছে বিদেশি কোচিং স্টাফদের ছাড়াই। তবে এই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে মারিও থাকলে আরো ভালো হতো বলে মনে করছেন নাসির। তারপরও সবাই নিজের মতো করে ভালো করার চেষ্টা করছেন।

এ প্রসঙ্গে নাসির বলেন, ‘মারিও না থাকলেও অনুশীলন এক রকমই হচ্ছে। ফিটনেস জিনিসটা সম্পূর্ণ নিজের ওপর। আপনি নিজে যদি চেষ্টা না করেন তাহলে এটা উন্নতি হবে না। আল্লাহর রহমতে আমরা সবাই নিজে থেকে ভালো করার চেষ্টা করছি। ফিটনেসের তো তেমন বেসিক কিছু নেই। শুধু রানিং আর ছোটখাটো যা আছে সেসব দেখার জন্য তো ইফতি (ইফতেখারুল ইসলাম) ভাই আছেনই।’

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর গত বছর টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি২০ মিলিয়ে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছে। সেই সঙ্গে এসব খেলাগুলোতে অনেক সাফল্যও পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু চলতি বছরে সেভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে আছে মুশফিক-মাশরাফিরা। তার ওপর আগামী অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটাও রয়েছে অনিশ্চিয়তার মধ্যে। তবে এসব ঘাটতি নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে পুষিয়ে নিতে চান নাসির।

এ বিষয়টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ম্যাচ প্র্যাকটিস হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্র্যাকটিস। আমরা হয়তো অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি না। আমি জানি না ইংল্যান্ড আসবে নাকি আসবে না। তারপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে বা আমাদের কোচিং স্টাফের চেষ্টা থাকবে ওখান থেকে (দীর্ঘদিন না খেলা) বের হয়ে আসা। সিরিজের আগে আমরা নিজেদের মধ্যে পাঁচ-সাতটা ম্যাচ খেলবো।’

ইংল্যান্ড দল যদি বাংলাদেশে আসে, সেক্ষেত্রে প্রায় ১৪ মাস পর টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে তামিম-মুশফিকরা। তাই হঠাৎ করে টেস্ট খেলাটা অনেক কঠিন মানছেন নাসির। তবে টেস্ট ম্যাট কঠিন হলেও ওয়ানডেতে তেমন সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তিনি।

এ বিষয়ে নাসির বলেন, ‘টেস্ট অবশ্যই কঠিন। বাংলাদেশে হলে ঠিক আছে। আর যদি বাইরে হয় বাংলাদেশের জন্য একটু হলেও কঠিন হবে। শেষ কবে টেস্ট খেলছি আমি জানি না, এ বিষয়টি আমার তেমন একটা মনে নেই। অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক কঠিন হবে টেস্ট সিরিজটা। আমরা যতো বেশি টেস্ট খেলবো ভালো করার সুযোগ আমাদের ততো থাকবে। তাই বলতে পারেন টেস্ট ম্যাচ আমাদের জন্য একটু হলেও কঠিন হবে।’

টেস্টে বাংলাদেশ দল ততোটা ভালো করতে না পারলেও ওয়ানডেতে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য দৃঢ সংকল্পবদ্ধ আছে স্বাগতিকরা।

এ বিষয়ে নাসির বলেন, ‘ওয়ানডেতে আমাদের যে প্রধান লক্ষ্য থাকবে, ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। আমরা ১০ মাস ধরে হয়তো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেভাবে ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে পারেনি। তারপরও আমার মনে হয় না ওয়ানডেতে খুব বেশি সমস্যা হবে। কারণ ম্যাচে নামার আগে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবো। সেই সঙ্গে নিজেদেরকে ওয়ানডে ম্যাচের জন্য অভ্যস্ত করে তুলবো।’

মন্তব্য