আর্টিজান হামলা: ‘মূল হোতা’ মারজানের বিচার চান তার ফুপুও
পাবনার যুবক নুরুল ইসলাম মারজানকে গুলশানে জঙ্গি হামলার অন্যতম ‘মূল হোতা’ বলছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযোগ সত্য হলে মারজানের বিচার চেয়েছেন তার স্বজনরাও।
গত ১ জুলাই গুলশানের অভিজাত রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে প্রাণ হারায় পাঁচ হামলাকারী। পুলিশ বলছে, এই হামলার অন্যতম হোতা ছিলেন মারজান।
গত ১২ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে মারজানের বিষয়ে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, আর্টিজানে হামলাকারীরা মারজানকেই ভেতরের ছবি পাঠিয়েছিল। সেদিনই মারজানের ছবি প্রকাশ করে পুলিশ।
ওই সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের কাছে মনে হচ্ছে, মারজান একজন বাংলাদেশি এবং শিক্ষিত তরুণ। মারজানের ছবির সূত্র ধরেই তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এরপর মারজানের তথ্য চেয়ে মহানগর পুলিশের অনলাইন নিউজপোর্টাল একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এখানে মারজানকে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় সন্দেহভাজন বলা হয়। এই তরুণের বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে ‘Hello City’ অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য জানানোর অনুরোধও জানায় পুলিশ।
এই ঘটনার তিন দিনের মাথায় গত সোমবার মারজানের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। বাহিনীটি জানায়, তার বাড়ি পাবনার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের এই ছাত্র গত জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পাবনা শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করার পর ২০১৪ সালে তিনি ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত জানুয়ারিতে শেষবার তিনি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর মারজানের স্বজনরা তার বিষয়ে জানতে পারেন। তার ফুফু আরজিনা খাতুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মানুষ হত্যা ও জঙ্গিদের সঙ্গে যদি মারজান জড়িত থাকে তাহলে যেন তার বিচার হয়। সেই বিচারে আমাদেরও মত আছে।’ মারজানকে যারা জঙ্গিবাদের পথে পথে নিয়ে গেছেন তাদেরও বিচার চাইলেন আরজিনা খাতুন।
মারজানের স্বজনরা অভিযোগ করছেন, এই তরুণকে না পেয়ে তার বাবা নিজাম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার রাতে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ বা গোয়েন্দারা তাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি।