বাংলাদেশের ত্রিশালে আজ একটি প্রিজন ভ্যানে আক্রমণ চালিয়ে একদল লোক নিষিদ্ধ ইসলামী সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদীনের তিনজন নেতাকে ছিনিয়ে নেবার কয়েকঘন্টা পর পুলিশ তাদের একজনকে আবার গ্রেফতার করেছে।
ছিনিয়ে নেয়া তিন জেএমবি নেতার দুজন ছিলেন বিভিন্ন মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত। এরা তিনজন হলেন জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন (৩৮), জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজান, এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহমুদ।
এর মধ্যে রাকিবুল হাসানকে আজই দুপুরের পর টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তাকে সখীপুর থানাতেই রাখা হয়েছে।
হামলার শিকার প্রিজন ভ্যান
ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর ওই আক্রমণের সময় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আক্রমণকারীরা সবাই জেএমবির সাথে সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ত্রিশাল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলছেন, ২০০২ সালে ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে বোমা আক্রমণের এক মামলায় হাজিরা দেবার জন্য তিন জেএমবি নেতাকে আজ কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
পথে ত্রিশালের সাইনবোর্ড নামে একটি জায়গায় দুটি গাড়িতে করে আসা একদল সশস্ত্র লোক প্রিজনভ্যানের ওপর আক্রমণ চালায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী ত্রিশালের আমিরাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজাহান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, আক্রমণকারীরা সংখ্যাং ছিল সাত-আটজন। তাদের মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।
মি. আহমেদ বলেন, আক্রমণকারীরা প্রিজন ভ্যানটিকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোঁড়ে । এ সময় ভ্যানের পেছন দিকে থাকা পুলিশ কনস্টেবল আতিকুল আসলাম নিহত এবং ড্রাইভার আহত হন।
ছিনিয়ে নেয়া বন্দীরা আক্রমণকারীদের সাথেই গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।
পরে ওই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে টাঙ্গাইলে একটি গাড়িসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টাঙ্গাইলের সখীপুরে পুলিশের ওসি মোখলেসুর রহমান বলছেন, আটক ব্যক্তির নাম জাকারিয়া এবং সে আক্রমণকারী দলটির সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পলাতকদের ধরার জন্য এখন ব্যাপক অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনার পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, কারণ এই কারাগারে জামাতুল মুজাহিদীনের প্রায় ১০০ বন্দী রয়েছে।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।