ওলেক্সান্দর তুর্চিনভ

ওলেক্সান্দর তুর্চিনভ

ইউক্রেনে সহিংস গণবিক্ষোভের মুখে সরকার পতনের পর পার্লামেন্টের স্পীকারকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট মনোনীত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ওলেক্সান্দর তুর্চিনভ দ্রুত একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল পার্লামেন্টের এক ভোটের মাধ্যমে অপসারিত হওয়া রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ গতকালই রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে পালিয়েছেন, তবে এখন তিনি কোথায় আছেন তা জানা যাচ্ছে না। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় গত ক’দিনে রাজধানী কিয়েভে ৮০ জনেরও বেশি মারা গেছে।

অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ওলেকসান্দার তুর্চিনভ পালামেন্টের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা মঙ্গলবারের মধ্যেই একটি জাতীয় ঐক্যের সরকারের ব্যাপারে একমত হন।

তিনি এমপিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ডেপুটিদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে তারা যেন জনগণের আস্থা আছে এমন একটি সরকার গঠনের ব্যাপারে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করেন, এমপিদের মধ্যে থেকে একটি নতুন সংখ্যাগরিষ্ঠতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।

এই সংকটে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সরকারবিরোধীদের সমর্থন করছিল।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলেছে, তারা নতুন সরকারকে সমর্থন দিতে তৈরি আছে।

পার্লামেন্টে এক ভোটে ইয়ানুকোভিচের মিত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিওৈনিদ কোজারাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে সব উর্ধতন কর্মকর্তা গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাজ পর্যবেক্ষণ করেন এমন একজন এমপি ভ্যালেন্টিন নালিভেচেংকো বলছেনম, ওই সংস্থাগুলোর প্রধানরা তাদের ফোন বন্ধ রেখেছেন, তাদে সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এবং তারা অফিসও করছেন না।

তিনি বলেন, পারমাণবিক স্থাপনা থেকে শুরু করে স্কুল বা বিদ্যুতকেন্দ্র পর্যন্ত সব কিছু সুরক্ষার কাজ যদের – তারা কেউই কাজে নেই।

ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ কোথায় আছেন তা সঠিক জানা গেলেও, তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করে বলেছেন, পার্লামেন্ট যা করছে তা অভ্যুত্থানের সামিল। ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে লেনিনের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে।

হাজার হাজার লোক এখনো কিয়েভের ইন্ডিপেনডেন্স স্কোয়ারে অবস্থান বহাল রেখেছে, তবে সেখানকার পরিস্থিতি এখন শান্ত।

অন্যদিকে রাশিয়া ছিলো ইয়ানুকোভিচের পক্ষে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলছেন তিনি রাশিয়ার পরাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ-এর সাথে বৈঠক করবেন – যা তার ভাষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের পর পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগামী ২৫শে মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এই সিদ্ধান্তের পরই কারাবন্দী বিরোধী নেত্রী ইওলিয়া টিমোশেঙ্কোকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

মন্তব্য