বেলী ও পারভীনের দোষ স্বীকার
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই নারী রাশেদা খানম পারভীন ও বেলী বেগম ওরফে রহিমা আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার সূচনা আদালতে বেলী বেগম এবং সাবরীনা আলীর আদালতে রাশেদা খানম পারভীন এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট এ দুই নারীর ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তারা স্বীকারোক্তি করতে চাইলে মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই ফেরদৌস।
গত ১৯ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালে জমজ সন্তান জন্ম দেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কাওছার হোসেন বাবুর স্ত্রী রুনা আক্তার। ওই ওয়ার্ডে গিয়ে রাশেদা খানম পারভীন বলেন তার এক আত্মীয়ের তিনটি সন্তান হয়েছে। তিনি আইসিইউতে আছেন। এভাবে সর্ম্পক স্থাপন করে রুনার সন্তানকে খাবার খাওয়ান এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
২১ আগস্ট কান্না থামানোর কথা বলে কৌশলে একটি শিশু নিয়ে পারভীন সটকে পড়েন। এ ঘটনার একদিন পর গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার সোনা মিয়ার স্ত্রী বেলি বেগম রহিমার কাছে ওই শিশুটি হস্তান্তর করেন। এর বিনিময়ে রহিমার কাছ থেকে তিনি ‘৪০ হাজার’ টাকা নেন।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর তারা জানিয়েছিল, গত ২১ আগস্ট নবজাতক শিশু এখলাছকে চুরি করে ৩৯ হাজার টাকার বিনিময়ে বেলী বেগম রহিমার হাতে তুলে দেন পারভীন। পারভীন পেশাদার শিশু চোর। ধাত্রী বিদ্যায় পারদর্শী পারভীন রোগী সেজে ঢামেক হাসপাতাল থেকে শিশুটি চুরি করেন। বেলী বেগম রহিমা নিঃসন্তান থাকায় তাকে শিশু চুরি করে এনে দেয়ার জন্য চুক্তি হয়।
পারভীনের বাড়ী গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার সোনিয়া গার্মেন্টের পাশে। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। ১৬ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। তার দুই মেয়ে এক ছেলে। ধাত্রীর কাজ করার পাশাপাশি তিনি একটি ফার্মেসিও দিয়েছেন।