এমন কোপানো মৃতদেহ আর পাননি ডাক্তার!

2016_04_26_14_30_08_O0JArKviFN80vhYC7NfUHP1k1L4Y1e_800xauto

 

ঢাকা : রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডে জোড়া খুনের ঘটনায় হামলাকারীদের কোপানোর ধরন দেখে মনে হচ্ছে তারা পেশাদার খুনি। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল হত্যা নিশ্চিত করা।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।

ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ ও প্রভাষক প্রদীপ কুমার সাহা দুই মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। দুজনের মরদেহ তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা পেশাদার খুনি। আমরা অনেক ময়নাতদন্ত করেছি, কিন্তু এমন আঘাতজনিত অবস্থায় আর কোনো মৃতদেহ পাইনি।’ তাদের হৃৎপিণ্ড ও পাকস্থলি সংগ্রহ করে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, ইউএসএআইডির কর্মী জুলহাজ মান্নানের মাথা ও ঘাড়ে পাঁচটা কোপ দেয়া হয়েছে।

ঢাকা : রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডে জোড়া খুনের ঘটনায় হামলাকারীদের কোপানোর ধরন দেখে মনে হচ্ছে তারা পেশাদার খুনি। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল হত্যা নিশ্চিত করা।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।

ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ ও প্রভাষক প্রদীপ কুমার সাহা দুই মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। দুজনের মরদেহ তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা পেশাদার খুনি। আমরা অনেক ময়নাতদন্ত করেছি, কিন্তু এমন আঘাতজনিত অবস্থায় আর কোনো মৃতদেহ পাইনি।’ তাদের হৃৎপিণ্ড ও পাকস্থলি সংগ্রহ করে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, ইউএসএআইডির কর্মী জুলহাজ মান্নানের মাথা ও ঘাড়ে পাঁচটা কোপ দেয়া হয়েছে।

2016_04_26_14_29_58_LkeuXn7HCb0Pi7F9V7TL9dkSUCaqyG_800xauto (1)

আর জুলহাসের বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়ের মাথায় তিনটা কোপ, ঘাড়ের ডান দিকে একটি কোপ ও বামদিকে একটি কোপের চিহ্ন রয়েছে। উপর্যুপরি কোপানোর পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনাস্থলেই তারা মারা গেছেন বলেও জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে লেক সার্কাস এলাকায় পার্সেল দেয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় ইউএসএআইডির কর্মসূচি কর্মকর্তা জুলহাজ (৩৫) ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়কে (২৬)। এতে আহত হয়েছেন আরো তিনজন।

জুলহাজ বাংলাদেশে সমকামীদের একমাত্র ম্যাগাজিন ‘রূপবান’-এর সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের সময় টহল পুলিশের একটি পিকআপ ওই এলাকার তেঁতুলতলা গলি দিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু তারা তাদের ধরতে পারেননি। উল্টো তাদের হামলায় গুরুতর জখম হয়ে গ্রিনলাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কলাবাগান থানা পুলিশের এএসআই মোমতাজ হোসেন।

কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী পরিচয়ে পার্সেল দেয়ার কথা বলে জুলহাজ মান্নানের বাসায় ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এরপর আনুমানিক ১০-১৫ মিনিটের হামলায় দু’জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে তাকে ও তার এক বন্ধুকে হত্যা করা হয়। পরে ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে বলতে তারা চলে যায় বলে জানিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন।

সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটিকে টার্গেট কিলিং বলেই মনে হচ্ছে। জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এখনই বলা যাচ্ছে না।’

মন্তব্য