শিবিরের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তেই পুরোহিত হত্যা: পুলিশ
ঝিনাইদহ: পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিবির নেতা এনামুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশেল দাবি, শিবিরের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেকই এই হত্যা মিশন পরিচালনা করা হয়।
গতকাল সোমবার (২১জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে এনামুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে ঝিনাইদহের অতিরিক্তি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীরের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। এনামুল হক সদর উপজেলার আড়মুখ গ্রামের ফজলুল হক জোয়ার্দ্দারের ছেলে। তিনি পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিবিরের সেক্রেটারি।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকারোক্তির বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন।
তিনি জানান, গত ৭ জুন ঝিনাইদহ শহরের করাতি পাড়া গ্রামের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানের অংশ হিসেবে গত রাতে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে এনামুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। সে পুরোহিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন বলেন, শিবিরের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা ঝিনাইদহের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃত এনামুলসহ শিবিরের আরও সাতজন অংশ নেয়।