সরকা‌রের শেষ বা‌জেট হ‌বে ৫ লাখ কো‌টি টাকা

2016_06_21_18_51_49_HF5pMLsc7f9Bjy8kaEIB3W4I5Ynlci_original

ঢাকা : বর্তমান সরকা‌রের শেষ অর্থবছ‌রে (২০১৭-১৮) বা‌জেটের আকার ৫ লাখ কো‌টি টাকা হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মু‌হিত।

মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জা‌তিক স‌ম্মেলন কে‌ন্দ্রে দে‌শের প্রথম গ্লোবাল ই-কমার্স পোর্টাল Nrbbuysell.com এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠা‌নে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী ব‌লেন, ‘বর্তমান সরকা‌রের শেষ অর্থবছ‌রে বা‌জেট হ‌বে ৫ লাখ কো‌টি টাকার। ত‌বে তথ্য প্রযু‌ক্তি খা‌তের উদ্যোগক্তা‌দের সহ‌যো‌গিতা না পে‌লে ৫ লাখ কো‌টি টাকার বা‌জেট দেয়া সম্ভব হ‌বে না।’

এ সময় আবুল মাল আব্দুল মুহিত আরো ব‌লেন, ‘জাতীয় ব্যাধি ঘুষ, দুনীতি, আর এ ধরনের ব্যাধি কমিয়ে আনতে বড় প্রতিষেধক হচ্ছে ই-কর্মাস। লেনদেনে পেমেন্ট, ই-পেমেন্ট ও ই-সিটিস পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারলে দুর্নীতির ঝুঁকি কমে যাবে।’

মুহিত বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর যে, আমরা আইসিটি ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়েছি। আসন্ন বাজেটেও এ বিষয়ে ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ই-কমার্সেও বিশ্ববাজার হচ্ছে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সেখানে আমরা মাত্র ১ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করি। কিন্তু এর মধ্যে ই-কমার্সেরও অংশ আরও কম।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান ও জাতিসংঘের সাবেক আবাসিক প্রতিনিধি আব্দুল মোমেন।

প্রসঙ্গত, গত ০২ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা মোট ব্যয়ের বাজেট পেশ করেছেন। বাজেটের মোট ব্যয় জিডিপির ১৭ শতাংশের মত।

এর আগে গত চারটি অর্থবছরের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে ওই চারটি বাজেটও পেশ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ খাতে ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা।

খাতওয়ারি ব্যয় বরাদ্দে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে জনপ্রশাসনে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। এর পর যথাক্রমে সরকারের নেয়া ঋণের সুদ বাবদ ১১ দশমিক ৭ শতাংশ এবং পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১১ শতাংশ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ‘অবশেষে আমরা ছয় হতে সাড়ে ছয় শতাংশের বলয় অতিক্রম করে চলতি অর্থবছরে ৭.০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব বলে আশা করছি। এর ফলে মাথাপিছু আয় উন্নীত হবে ১ হাজার ৪ শত ৬৬ মার্কিন ডলারে’।

মন্তব্য