মিতুকে গুলি করে ভাড়াটে খুনি ওয়াসিম

2016_06_06_10_02_10_kstdwTVC7lGSYv0ssHhqD3YKO28wHx_original

চট্টগ্রাম : এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যায় গুলি করেন ভাড়াটে খুনি ওয়াসিম। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।

রোববার (২৬ জুন) দুপুরে সিএমপি কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার। ওয়াসিম ছাড়াও এ ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আনোয়ার নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘মিতু হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়া দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন ওয়াসিম ও আনোয়ার। দুজনই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে ওয়াসিম নিজে মিতুকে গুলি করেন। আর আনোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ব্যাকআপের জন্য।’

ইকবাল বাহার জানান, ‘ঘটনার মোটিভ (উদ্দেশ্য) এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র, এরা ভাড়াটে খুনি। এটা একটা টার্গেট কিলিং।’ এই হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা তদন্ত শেষ করে জানা যাবে, যোগ করেন সিএমপি কমিশনার।

তবে এ দু’জনকে কখন, কোথায়, কীভাবে আটক করা হয় ‘তদন্তের স্বার্থে’ তা জানানো হয়নি। ইকবাল বাহার জানান, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)। তবে মামলার মূল তদন্তে আছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও সবগুলো সংস্থা মিলে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার তেমন কোনো ক্লু খুঁজে বের করতে পারেনি।

মন্তব্য