সকালে লম্বা লাইন, বিকেলে ফাঁকা

2016_06_22_17_30_19_8ZZgcLGUdgWH1CC6Q0xyTM1qdpnrGu_original

ঢাকা : আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার প্রথম দুদিন চাপ হালকা থাকলেও তৃতীয় দিনে এসে তা অনেকটাই বেড়ে গেছে।

শুক্রবার সকালে কমলাপুর স্টেশনের প্রতিটি কাউন্টারেই টিকিট প্রত্যাশিদের চাপ বাড়ার এমন চিত্র দেখা যায়। তবে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকটাই কমতে শুরু করে। আর বিকেলের দিকে কাউন্টারগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়ে।

কাউন্টার ঘুরে এবং টিকিট প্রত্যাশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের দিন রাত থেকেই টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। কেউ আবার আগের দিন বিকেল থেকেই স্টেশন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। লক্ষ্য একটাই, বাড়ি ফেরার টিকিট নিয়ে ঘরে ফিরবেন।

রাত থেকেই স্টেশন এলাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পাঁচ বন্ধু। যদিও তারা রাজধানীর আলাদা আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েন। কিন্তু ৩ জুলাই একসঙ্গে বাড়ি ফিরবেন। তাই এক সঙ্গেই টিকিট যুদ্ধে আসা। এই যুদ্ধে তাদের সঙ্গে আছেন আরও দুজন।

তারা জানান, তাদের সবার পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১ তারিখ। একদিন কেনাকাটা করবেন। পরদিন নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ট্রেনের টিকিট পেতে যেন কোনো সমস্যা না হয় সে জন্যই আগের রাত থেকে কমলাপুরে এসেছেন। অবশেষে টানা ১০ ঘণ্টা অপেক্ষার পালা শেষে কাঙ্ক্ষিত টিকিট হাতে পেয়েছেন তারা।

টিকিট হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সবাই। এসময় তাদের একজন আরিফ হোসেন বলে উঠেন, ‘এবার কনফার্ম হলাম বাড়ি যাচ্ছি।’

এদিকে, সকালে টিকিটের লম্বা লাইন থাকলেও বেলা ১২টার পর থেকে লাইন ছোট হতে থাকে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, এ তিনদিন সকালে চাপ ছিল। কিন্তু দুপুরের পরই সেটা কমে গেছে। শেষের দিকে সবাই টিকিটের জন্য ভিড় করবে। তখন চাপ বাড়বে। এখন স্বাভাবিকই আছে।

আজ (শুক্রবার) পাওয়া গেছে ৩ জুলাইয়ের টিকিট। ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে নতুন ট্রেন ‘সোনার বাংলা’ উদ্বোধনের কারণে আগামী ২৫ জুলাই অগ্রিম টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। ২৬ জুন পাওয়া যাবে ৪ জুলাইয়ের টিকিট। ২৭ জুন কাউন্টারগুলোতে বিক্রি হবে ৫ জুলাইয়ের টিকেট।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বাংলামেইলকে বলেন, ‘টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কায় সবাই সকালবেলা ভিড় করে। কিন্তু দুপুরের পর থেকে বিকেলে মোটামোটি ফাঁকা থাকে।’

মন্তব্য