শাবিপ্রবির ‘জঙ্গিদের’ তথ্যে আটক জাবির ইব্রাহীম
জাবি : জঙ্গি সন্দেহে আটক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্র ইব্রাহীম আদহাম ওরফে মোশাররফের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে আটক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি সূত্র বাংলামেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ফোন করে জানানো হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদে শাবিপ্রবি থেকে আটক শিক্ষার্থীরা জাবির এই শিক্ষার্থীর নাম বলেছে। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। বিষয়টি আগেই উপাচার্যকে অবহিত করা হয়।
পুলিশ পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া ওই শিক্ষার্থী হলে থাকতেন না, ঢাকা থেকে এসে ক্লাস করতেন বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা। ফেসবুকে তার আইডির নাম ইব্রাহীম আদহাম (বাংলাতে)। আইডিতে তার কোনো ছবি নেই, পরিচয় শনাক্ত করার মত তথ্যও পাওয়া যায়নি। তবে টাইমলাইনে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট দেখা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ভর্তি হওয়ার আগে ওই শিক্ষার্থী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইআইটি বিভাগে ভর্তি হন।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু ইউসুফ বলেন, ‘শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে গণিত ও পরিসংখ্যান ভবনে একটি কক্ষে ক্লাস নিচ্ছিলাম। এমন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এসে তাকে (ইব্রাহীমকে) জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে বলে নিয়ে যায়। তাদের গায়ে কোনো বাহিনীর পোশাক ছিল না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, আই-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তিরা ক্লাসে থাকা শিক্ষককে বলেন, ‘আমরা উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে আসছি ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।’
এদিকে সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহীম বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে তার আসন বরাদ্দ আছে। কিন্তু সে হলে না থেকে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতো। ইব্রাহীম সৌদি আরব ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। তার জন্ম সৌদি আরবে। তিনি পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত পরিবারের সাথে সেখানেই ছিলেন।
সম্প্রতি জঙ্গি সন্দেহে শাবিপ্রবি থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সর্বশেষ বুধবার আটক হন জুয়েল আহমেদ নামে এক ছাত্র।
এ বিষয়ে জাবি উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘আমাকে অবহিত করা হয়েছে, তবে অনুমতি চাওয়া হয়নি। দুই-তিনদিন আগে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে ফোন করে বলা হয়েছে তারা একজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। কিন্তু তারা কবে কিংবা কখন আসবেন সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। নিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে জানানো হয়নি। আমি পরে জেনেছি।’