রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১০ এপ্রিল হাজির হবেন খালেদা

2016_01_25_11_51_28_FPpvFsanP2jgKsBuDuodzgNhvvxtwX_original

ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির হবেন।

বৃহস্পতিবার এ মামলাটিতে আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য থাকলেও শারিরীক অসুস্থতার জন্য তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি মর্মে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া আদালতে একটি সময়ের আবেদন দাখিল করেন।

সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেন। শুনানিকালে মামলার বাদী ড. মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ড. মেহেদীর করা মামলায় আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এতো (৩০ লাখ) শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও তো অনেক বিতর্ক আছে।’ উক্ত বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সবিস্তারে প্রকাশিত হয়।

তিনি জানান, উক্ত বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর গত ২৩ ডিসেম্বর খালেদার জিয়াকে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়। লিগ্যাল নোটিশে খালেদা জিয়াকে উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হলেও তিনি ‘কর্ণপাত না করায়’ গত ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদন অনুযায়ী গত ২১ জানুয়ারি মামলার অনুমতি প্রদান করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

বাদী বলেন, খালেদা জিয়ার উক্ত বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ঘোষণা পত্রে পরিপস্থিই নয় দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে বর্তমান সরকারের প্রতি ঘৃণার সঞ্চায় করেছেন। যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। যা দন্ডবিধির ১২৩(ক), ১২৪ (ক) এবং ৫০৫ ধারার অপরাধ।

মন্তব্য