১০০ টাকায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা, আলো ছড়াবে ‘দিপ্তী’

2016_05_26_14_03_24_l8DC52enB1uGOQm2oUFh17lN66RNKQ_original

নওগাঁ: মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নওগাঁর ধামইরহাটের ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে।

গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষ মাত্র ১০০ থেকে ২০০ টাকায় এসব অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাবেন। এছাড়া পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ধামইরহাটের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘দিপ্তী’ নামের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুর ১২টায় ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসেন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নওগাঁ স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন, ধামইরহাট পৌরসভার মেয়র আমিনুর রহমান প্রমুখ।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের এলজিএসপি-২ প্রকল্পের অর্থায়নে ধামইরহাটে আটটি ইউনিয়নে অ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি ইজিবাইককে (ব্যাটারিচালিত চার্জার) অ্যাম্বুলেন্সে রূপ দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা অ্যাম্বুলেন্স। ছাদে ঘুর্ণায়মান লাল আলোর বিচ্ছুরণ আর সাইরেন বাজিয়ে গ্রামের কাঁচা-পাকা সড়কে ছুটে চলবে এই অ্যাম্বুলেন্স। এসব অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত গ্রাম্য পুলিশদের।

অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে। এই নাম্বারে ফোন দিয়ে সেবা পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন তাদের প্রয়োজনের কথা জানাতে পারবেন।
এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য বিতরণ করা হয়েছে একটি করে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের একটি স্কুলের অধীনে এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি পরিচালিত হবে। ওই স্কুলের লাইব্রেরিয়ান এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির তত্ত্বাবধান করবেন। এই লাইব্রেরি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্রতিটি স্কুল-কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যাবে।

ইউএনও হোসেন আহমেদ জানান, একটি ইজিবাইককে অ্যাম্বুলেন্সে রূপ দিতে ২ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। আটটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খরচ হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তত্ত্বাবধান করবেন। মাত্র ১০০ থেকে ২০০ টাকায় গ্রামের দরিদ্র মানুষরা অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন। আর একটি ইজিবাইককে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি হিসেবে রূপ দিতে খরচ হয়েছে ৭১ হাজার টাকা। আটটি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির জন্য খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিটি লাইব্রেরিতে গল্প, উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ২৫ হাজার টাকার বই দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য