এবছর থেকে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী বাতিল
ঢাকা : চলতি বছর থেকেই পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় একটি প্রস্তাব যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় দু’টি সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার যৌক্তিকতা নেই। এ বছর থেকেই পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা উঠে যাচ্ছে। অষ্টম শ্রেণিতে হবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা।’
এতদিন প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক ছিল। এখন থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্তই অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলকও করা হবে বলেও জানান মোস্তাফিজুর রহমান।
শেষবারের মতো এ বছর পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের আন্দোলন করছিলেন অভিভাবকেরা। একই সঙ্গে এ বছর থেকেই কেন পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করা হবে না, তা নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিটও হয়। রিট আমলে নিয়ে রুলও জারি করেন আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন সিদ্ধান্ত নিল।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিশ্চিত হয়েই বলছি, বছর থেকেই পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী পরীক্ষা থাকবে না। একেবারেই অষ্টম শ্রেণি শেষে হবে এ পরীক্ষা। পরীক্ষার নাম প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) হবে কি না, তা ঠিক করবে মন্ত্রিসভা।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রথম ৫ম শ্রেণীতে সমাপনী এ পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়। শিক্ষার মান উন্নয়নের অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে মাধ্যমিক পর্যায়ে উঠার আগে এ পরীক্ষা চালু করে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষা প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট বা পিএসসি হিসেবে স্বীকৃত। শুরুর প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হলেও ২০১১ সাল থেকে ক্ষুদে এ শিক্ষার্থীদের সমাপনীতে যুক্ত করা হয় গ্রেডিং পদ্ধতি।