ইমরান হাশমি মারাত্মক প্রফেশনাল: নার্গিস ফাখরি
এই সময়ে বলিউডের আবেদনময়ী অভিনেত্রী ও মডেলদের নাম নিলে অনায়াসে চলে আসবে ভারতীয় বংশদ্ভুত আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী নার্গিস ফাখরির কথা। ‘আমেরিকা’স নেক্সট টপ মডেল’-এ অংশ গ্রহণ করা নার্গিস ফাখরি ২০১১ সালে রনবীর কাপুরের বিপরীতে ইমতিয়াজ আলীর ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘রকস্টার’-এ অভিনয় দিয়ে বলিউডে যাত্রা করেন। এরপর আর পিছু ফিরতে হয়নি তাকে। ২০১৩ সালে জন আব্রাহামের বিপরীতে মাদ্রাস ক্যাফে, ২০১৪ সালে ‘ম্যায় তেরা হিরো’সহ গত বছরে হলিউডের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘স্পাই’তেও অভিনয় করেন নার্গিস। এছাড়া ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো এবং সুপারস্টার সালমান খানের বাণিজ্যিক সিনেমা ‘কিক’-এ অসাধারণ দুটো আইটেম গানে বাজিমাৎ করেন তিনি।
সম্প্রতি তার হাতে আছে একাধিক সিনেমা। তারমধ্যে আছে সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘আজহার’। ছবিতে ভারতের বিতর্কিত ক্রিকেটার আজহার উদ্দিনের প্রাক্তন স্ত্রী সঙ্গীতা বিজলানির চরিত্রে অভিনয় করেছেন নার্গিস। আর ছবিতে আজহারের চরিত্রে অভিনয় করছেন ইমরান হাশমি। সম্প্রতি ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘বালাজি প্রযোজনা সংস্থা’র কার্যালয়ে নিজের আসন্ন সিনেমা, চরিত্র, ইমরান হাশমির সঙ্গে অভিনয়ের ক্যামিস্ট্রি নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন নার্গিস। স্পটবয়কে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারটি বাংলামেইলের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:
আজহার সিনেমায় সঙ্গীতা বিজলানির চরিত্রটি কেন করতে রাজি নিলেন?
ছবির প্রযোজক বালাজি ‘আজহার’ সিনেমার চিত্রনাট্য আমার কাছে পাঠিয়ে বলেছিল যে এই ছবিতে আমি বিজলানির চরিত্রটির জন্য পারফেক্ট। সোজা কথা আমার মতামত জানতে চেয়েছিলেন তিনি, কারণ সত্য কাহিনী অবলম্বনে যে কোনো ইভেন্টের চরিত্রে আমি অভিনয় করতে আগ্রহী! এমন প্রস্তাব শুনে আমি সত্যিই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি এটা আমার ক্যারিয়ারে সুযোগ হিসেবেই ধরে নিয়েছি।
আপনি কি সঙ্গীতা বিজলানি কিংবা আজহার উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন?
দুর্ভাগ্যবশত সঙ্গীতার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। কিন্তু আজহারের সঙ্গে আমার দুইবার দেখা হয়েছে। তবে কথা হয়েছে খুবই অল্প। এইসব নিয়ে ইমরান হাশমির সঙ্গে আজহারের প্রচুর কথা হয়েছে।
সঙ্গীতা সম্পর্কে আজহারের কাছে কিছুই জানতে চাননি?
না। মোটেই না। এইসব বিষয় আমি নির্মাতা টনির(টনি ডি’সুজা) উপর ছেড়ে দিয়েছি। আসলে এই ছবিতে সঙ্গীতার চরিত্রে অভিনয় করতে আমি ওয়ার্কশপটাকেই গুরুত্ব দিয়েছি।
তারপর…
আজহার উদ্দিন কিংবা বিজলানির সাথে আমার চরিত্র নিয়ে খুব একটা কথা না বললেও সবকিছু আমি ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়েছি। ছবিতে আমার পোশাক পরিচ্ছদ সাজ-সজ্জা বেশ মজার। একেবারে নব্বই দশকের নায়িকাদের মত।
ইমরান হাশমি ও প্রাচী দেশাইয়ের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করেছেন, তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলুন…
ছবির প্রয়োজনেই ইমরান হাশমির সঙ্গে আমাকে বেশি সময় কাটাতে হয়েছে। ছবিতে তারসঙ্গে ভালোবাসাময় অনেক অন্তরঙ্গ মুহূর্ত আছে। সে সত্যিই খুব স্মার্ট এবং মারাত্মক প্রফেশনাল। আর প্রাচী খুবই অসাধারণ একজন মানুষ এবং সেই সাথে সে খুব মজারও। কিছু মানুষ থাকে না যাকে দূর থেকে খুব ভাবগম্ভীর মনে হয়, কিন্তু ভেতরে সে খুব ফানি ঠিক এরকম একজন হচ্ছে প্রাচী।
ছবিতে ইমরানের সঙ্গে চুমুর দৃশ্য নাকি বারবার দিতে হয়েছিল আপনাকে…
হ্যাঁ। ইমরানের সঙ্গে চুমুর দৃশ্য নিয়ে টনি(নির্মাতা) আমার সঙ্গে মজা করেছে। চুমুর দৃশ্যে ইমরানের সঙ্গে আমি যখন ব্যস্ত ছিলাম তখন টনি বারবার চুমুর দৃশ্যটি রিটেক করতে বলেছে।
আজহার সিনেমা করতে গিয়ে একটি ভালো এবং একটি বাজে স্মৃতির কথা বললে…?
ছবিতে ‘ওয়ে ওয়ে’ যে গানটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটা করতে গিয়ে আসলে বেশ নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল আমার। কারণ এই গানের শুটিংয়ের সময়টায় আমি অসুস্থ ছিলাম। কিন্তু তারপরেও অসুস্থ শরীর নিয়েও আমাকে নাচতে হয়েছে, এটাকে আমি বাজে স্মৃতি হিসেবেই মনে করি। আর সুখ স্মৃতি বলতে, লন্ডনে পুরো টিম নিয়ে যখন শুট করেছি। ওটাকে আমি ছবির বেস্ট পার্টই বলবো।
আপনিতো হলিউডের ছবিতেও কাজ করেছেন। তো, হলিউডের সাথে বলিউডের পার্থক্য আসলে কী?
হলিউডে কেউ সময় নষ্ট করে না। তারা তাদের কথামত কাজের সঙ্গে এক। কিন্তু এখানে কথা কাজে প্রায়শই মিল থাকে না।