বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক বাংলার মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে শেষ বিদায় নিলেন |

 

যানজট আর বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসেছিলেন সরকারের মন্ত্রী, আমলা, রাজনীতিবিদরা। এসেছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের সেকাল-একালের সহশিল্পীরা, শিল্প-সাহিত‌্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধি আর ভক্তরা। তাদের সবার হাতে ছিল শ্রদ্ধার ফুল।

তার চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এ শূন্যস্থান কখনও পূরণ হওয়ার নয়। তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রের উত্তম কুমার।”বেশ কিছুদিন ধরে নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে ২৫ বছর প্রায় একাই টেনে নিয়ে গেছেন এই চিত্রনায়ক। শেষ দিকে অন্য চরিত্রে অভিনয় করলেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গন তাকে চিরসবুজ নায়ক হিসেবেই দেখে। চলচ্চিত্র অঙ্গনের প্রযোজক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা সেখানে নায়করাজের জানাজায় অংশ নেন। কবরী, আলমগীর, গাজী মাজহারুল আনোয়ারসহ চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন , এফডিসি থেকে বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজ্জাকের মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সেখানে সর্বস্তরের মানুষ নায়করাজের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়।

প্রথমে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নায়করাজের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দেন মন্ত্রী আসাদুজ্জাসান নূর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু , বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও রাজ্জাকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মন্তব্য